শিরোনাম :

একুশ এলো

 






খলিল আহমদ 


একুশ এলো-

ফাগুনের আম্রকাননে কৃষ্ণচূড়ার ডালে ডালে ,

পূর্বের আকাশে লাল দিগন্তে ,

রক্তিম আভায় রক্ত মেখে

আমার ভাইয়ের রক্তে রঞ্জিত লাল গোলাকার - বৃত্ত।

একুশ এলো মায়ের স্বাধিকার দাবির মিছিল ,

বর্ণমালা'র সংগ্রাম বাংলার অস্তিত্বের ও চেতনার

বিকাশ ঘটাতে আমরা কোথায়?

আমরা কা'রা !


একুশ এলো ১৯৫২ এর ঢাকার পিচঢালা

রাজপথ স্মরণ করে দিতে ,

হায়েনাদের লাল চক্ষু ও গুলি করো ,

কামান চালাও মানুষ মারো ,

পূর্ব বাংলার মানুষ চাই না , মাটি চাই

কথাগুলো স্মরণ করে দিতে।


একুশ এলো বাংলার দামাল ছেলেদের

প্রাণ দিয়ে মাতৃভাষা - বাংলা রক্ষা

করতে কি ঘটেছিল ? তা স্মরণ

করে দিতে

যুগ - যুগান্তরে প্রজন্মের পর প্রজন্মে

বাংলা আমার দেশ , বাংলা

আমার ভাষা বলে দিতে ,


একুশ হলো দুঃখিনী বর্ণমালা'র শত বছরের

অঙ্গীকারের দাবি জানাতে রাষ্ট্রভাষা

বাংলা চাই , সর্বস্তরে চালু কর ,


একুশ এলো প্রাণের বদলেও মা ও মাতৃকার

দেশাত্মবোধের অঙ্গীকার ও শপথ করাতে।

একুশ এলো বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশ ,

বাংলা নামের ভাষার হত্যাকে কিভাবে

বাঁচানো হলো তা আমাদের উচ্চস্বরে

‌--  স্মরণ করে দিতে।


একুশ এলো - আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো

২১শে ফেব্রুয়ারি শতভাগ ন্যায় দাবি

ও স্বাধীনতার চাবিকাঠি সোনার বাংলায় ,

হাজার নদী রক্তের গঙ্গা -

সাগর - মহাসাগর ত্রিশ লাখ দেশপ্রেমিক

মানুষের ত্যাগের কথা বলতে ,

পলাশীর সেই পরাজয় মোচন করে

এক স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রের জয়ের

কাহিনি শোনাতে।





(রচনাকাল: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬খ্রি., জহিরপুর, সিলেট)




(বর্ণমালার বাংলাদেশ কাব্যগ্রন্থ থেকে) 

Commentbox

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post

Recents